১৫ থানা তদারকির দায়িত্বে মাহতাব নাছির বাবুল রেজাউল

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৫৪, ২২ মার্চ ২০২২
১৫ থানা তদারকির দায়িত্বে মাহতাব নাছির বাবুল রেজাউল

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড ও থানা কমিটি নিয়ে অভিযোগ-আপত্তির পর কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ঢাকায় ডাক পড়ে নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের। সেই সময় বিরোধ মিটিয়ে বির্তকমুক্ত তৃণমূলের কমিটি গড়তে ৬ নেতার একটি সুপারভিশন কমিটি গড়ে দেয় দলের সাংগঠনিক নেতারা। তারা দফায় দফায় বৈঠক করলেও এই হচ্ছে; এই হচ্ছে না— পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা একেবারে বর্ধিত সভায় বসেন নগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে। এবার সেই ছয়জন থেকে তিন জনকে বাদ দিয়ে ইব্রাহিম হোসেন বাবুলকে যুক্ত করে নতুন করে অনিময়–অভিযোগ তদারকি করতে চার সদস্যের একটি প্যানেলকে ১৫টি সাংগঠনিক গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আগের সুপারভিশন কমিটিতে জাতীয় পরিষদের সদস্য নইম উদ্দীন চৌধুরী, সিডিএ চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জহিরুল আলম দোভাষ ডলফিন ও নগর আওয়ামী লীগের সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি থাকলেও এবার তাদের তিনজনকে বাদ রেখে বাকি চারজনকে ওই ১৫টি সাংগঠনিক টিম গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এসব সাংগঠনিক টিম পূর্ণাঙ্গ করার দায়িত্ব দেওয়া হলো— নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সহ সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন বাবুল ও সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে। তারা নগরের নেতাদের দায়িত্ব বন্টন করে দিয়ে এসব সাংগঠনিক টিম  করবেন।  

মঙ্গলবার (২২ মার্চ)  দিনভর নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের বর্ধিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় আরও বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তও হয়। 

এদিন সকাল ও বিকেলে দুই দফায় বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকালের সেশনে ১৫ থানার কার্যক্রম ও অনিময়–অভিযোগ তদারকি করতে ১৫টি সাংগঠনিক টিম গঠন করা হয়। পরে সভায় এই সাংগঠনিক দলের প্রধানদের নাম অনুমোদন করা হয়। বিকেলের সেশনে সাংগঠনিক দলের প্রধানদের নিয়ে বসেন কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা। 

টিম গঠন বিষয়ে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সহসভাপতি ইব্রাহিম হোসেন বাবুল ও সিটি মেয়র রেজাউল করিম বসে সাংগঠনিক দলগুলো পূর্ণাঙ্গ করবেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া কমিটিতে থাকা বাকি ৬০ সদস্যকে চারজন করে ১৫টি দলে ভাগ করে দেওয়া হবে।’

সাংগঠনিক দলের কাজ সম্পর্কেও তিনি বলেন, ‘এই সাংগঠনিক দল সংশ্লিষ্ট থানা, ওয়ার্ডের সভাপতি–সাধারণ সম্পাদক কিংবা আহ্বায়ক–যুগ্ম আহ্বায়কদের নিয়ে ইউনিট সম্মেলনে যেসব অভিযোগ এসেছে সেগুলো পর্যালোচনা করবে। তাঁরা কোনো অনিময় হলে সেগুলো আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবেন। যদি তাঁরা না পারেন তাহলে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি–সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে আমাদের কাছে পাঠাবেন। পরে আমরা আলোচনা করে সেগুলো সমাধান করব। সাংগঠনিক দলকে এক মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।’

এই সাংগঠনিক দলকে আরও একটি দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানিয়ে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘আমরা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ভালো মানুষদের আওয়ামী লীগে সম্পৃক্ত করতে চাই। নতুন প্রজন্মকে যুক্ত করতে চাই। যাদের বিষয়ে কোনো অভিযোগ নেই, যারা নাশকতা করেনি–তাদের আওয়ামী লীগে আনতে চাই। তবে কোনো আবর্জনা যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেটি সাংগঠনিক দল দেখবে।’

ঈদের পর চট্টগ্রাম মহানগরের ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলন শেষে, জুনের দিকে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতিক্রমে জুনেই প্রতীক্ষিত নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন করার কথাও জানান দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এ নেতা। 

বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আরও ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা ত্রাণ ও সমাজকল্যান বিষয়ক সুজিত রায় নন্দী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুস সবুর, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।

 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়