Cvoice24.com

গৃহকর বাড়াতে বাধা নেই চসিকের, রেজাউলের আবেদনে মন্ত্রণালয়ের সাড়া

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:৫৯, ১৮ জানুয়ারি ২০২২
গৃহকর বাড়াতে বাধা নেই চসিকের, রেজাউলের আবেদনে মন্ত্রণালয়ের সাড়া

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের লোগো।

ভবন মালিকদের আন্দোলনের মুখে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর পঞ্চবার্ষিকী গৃহকর পুনঃমূল্যায়ন স্থগিত করেছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তখন মেয়র ছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। আন্দোলনে নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। 

নাছির বাড়ানোর সুযোগ না পেলেও মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই আন্দোলনের মুখে স্থগিত গৃহকর পুনঃমূল্যায়নের বিষয়টি চালু করার আবেদন করেন এম রেজাউল করিম চৌধুরী। অবশেষে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পর এবার ব্যক্তিমালিকানাধীন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের খাত থেকেও স্থগিতাদেশ তুলে নেয় মন্ত্রণালয়।

এরআগে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করতে গত ২ জানুয়ারিসহ দুই দফা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সই করা এক চিঠিতে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে  জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম মহানগরীতে গত ১০ বছর পূর্বের নির্ধারিত হারে জনসাধারণ কর প্রদান করছে। এতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জনগণের নাগরিক সেবা ও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখাসহ সিটি করপোরেশনের আয় বৃদ্ধির স্বার্থে ব্যক্তিমালিকানাধীন ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হোল্ডিংয়সূমহের গত ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের ১ম কোয়াটারে প্রকাশিত পঞ্চবার্ষিক গৃহকর পূনঃমূল্যায়নের ওপর গৃহকর আদায়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হলো।

এদিকে, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করার  মাধ্যমে ১০ বছর আগের করা নির্ধারিত হারের পরিবর্তে পুনঃমূল্যায়নের ভিত্তিতে গৃহকর আদায় করবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।

প্রসঙ্গত, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পৌরকর নির্ধারণে চসিক ২০১৬ সালের ২০ মার্চ প্রথম দফায় নগরীর ১১টি ওয়ার্ডে ভবনের পুনঃমূল্যায়ন করে। একই বছরের ২০ জুন শেষ হয়। দ্বিতীয় দফায় ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর অবশিষ্ট ৩০টি ওয়ার্ডে অ্যাসেসমেন্ট শুরু করে এবং তা শেষ হয়েছে ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি। পঞ্চবার্ষিকী কর পুনঃমূল্যায়ন শেষে তা ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়। এরপরই আন্দোলনে নামে ভবন মালিকরা। এতে সারা দেশের হোল্ডিং ট্যাক্স কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় না আসা পর্যন্ত অ্যাসেসমেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়, যা ১০ ডিসেম্বর চসিককে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয় মন্ত্রণালয়।

চসিকের ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে গৃহকর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। পুনঃমূল্যায়ন অনুযায়ী কর আদায় হলে তা দাঁড়াবে ৮৫১ কোটি ৩০ লাখ টাকায়।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়