Cvoice24.com

মার্চের পর নগরে জলজট-জলাবদ্ধতা মেনে নিবে না চসিক— মেয়রের সাফ ঘোষণা

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:৩২, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
মার্চের পর নগরে জলজট-জলাবদ্ধতা মেনে নিবে না চসিক— মেয়রের সাফ ঘোষণা

এপ্রিলের ১ম সপ্তাহের পর জলজট ও জলাবদ্ধতায় নগরবাসীর ভোগান্তি চসিক কোন অবস্থাতেই মেনে নিবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে আন্দরকিল্লা নগর ভবনে কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে চসিকের ৬ষ্ঠ পরিষদের ১৩তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নগরবাসীদের প্রধান সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দিয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে খাল ও নালাসমূহ যেভাবে ভরাট করা হয়েছে তা অপসারণ করতে চসিক বারবার তাগাদা দেয়ার পরও এ সমস্যা দূরীকরণ হয়নি। তারা এপ্রিল মাসের ১ম সপ্তাহের মধ্যে ভরাট হওয়া খাল নালাগুলো পরিস্কার করবে বলে চূড়ান্ত কথা দেয়। আমরা আশা করব, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা তাদের কথা রাখবে। যদি তারা ব্যর্থ হন তাহলে চসিক কোন অবস্থায় জলজট ও জলাবদ্ধতায় নগরবাসীর ভোগান্তি মেনে নিবে না।’

সেই সঙ্গে এপ্রিলের পর যে খালগুলো ভরাট করা হয়েছে তাতে গাইড ওয়ালের কাজ শেষ হোক বা না হোক তা পরিস্কার করে দিতে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন মেয়র। এছাড়া মেগা প্রকল্পের আওতায় বাকি থাকা ২১টি খালের অবস্থান চিহ্নিত করা, কি অবস্থায় আছে তা প্রতিবেদন আকারে পেশ করার জন্য প্রকৌশল বিভাগকে নির্দেশনা দেন সিটি করপোরেশনের মেয়র। 

পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে মেয়র রেজাউল বলেন, ‘চসিক পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য ৬টি জোনে বিভক্ত করে ৬ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করেছে। জোন প্রধান এবং এলাকার সুপারভাইজার তদারকির মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করবে। এতে কোন ধরনের অবহেলা পরিলক্ষিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মশক নিধনের জন্য আলাদা একটি সেল গঠন করা হয়েছে। ওষুধ ছিটানোর কাজটি যথাযথভাবে করা হচ্ছে কিনা তা তদারকির জন্য বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা নিতে হবে বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।’ 

নগরের আলোকায়ন-সৌন্দর্যবর্ধনের চুক্তির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এখনো অনেক ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত আলোকায়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে না। যেখানে পোল, শেড নেই সেখানে পুরাতন পোল, শেড ব্যবহার করে আলোকায়নের ব্যবস্থা নিতে হবে। সৌন্দর্যবর্ধনের নামে চুক্তি লঙ্ঘন করে যারা বিলবোর্ড ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছে তাদের রির্পোট প্রস্তুত করে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে হবে।’ 

সাধারণ সভায় অক্সিজেন মোড়কে হযরত গাউসুল আজম মাইজ ভান্ডারী চত্ত্বর নামকরণের প্রস্তাব দিলে সভায় তা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। এছাড়াও নগরের লাভ লেইনস্থ আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ চত্ত্বর ও দৈনিক আজাদীর সম্পাদক মরহুম অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ চত্ত্বরটি দৃষ্টি নন্দন করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সঞ্চালনায় সাধারণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিকসহ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরবৃন্দ।

-সিভয়েস/এসআর

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়