Cvoice24.com

ভবন ‘ধসে’ পড়ার আতঙ্কে ফায়ার সার্ভিসে চসিকের সেবক কলোনীর বাসিন্দাদের ফোন 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৪৯, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩
ভবন ‘ধসে’ পড়ার আতঙ্কে ফায়ার সার্ভিসে চসিকের সেবক কলোনীর বাসিন্দাদের ফোন 

নগরের মাদারবাড়িতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সেবক কলোনীর পুরাতন ভবনে পলেস্তরা খসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ছাদ ও রেলিংয়ের পলেস্তারা খসে পড়তে শুরু করে। এতে ভবন ভেঙে পড়ছে মনে করে আতঙ্কিত হয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয় আশপাশের বাসিন্দারা।

ফায়ার সার্ভিস বলছে— ভবন ধসে পড়ছে মনে করে আশপাশের বাসিন্দারা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। তবে খবর নিয়ে তারা জানতে পারেন এটি পলেস্তারা খসে পড়ার ঘটনা। এতে কোন হতাহতও ছিল না। তাই তারা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে ঘটনার ব্যাপারে জানিয়েছে।

জানা যায়, জরাজীর্ণ এ তিনতলা ভবনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ৩৬টি সেবক পরিবার বাস করেন। এরই মধ্যে হঠাৎ ভবনের পলেস্তারা খসে পড়ায় নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। 

এ বিষয়ে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের এক ফায়ার ফাইটার সিভয়েসকে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছিলাম। এটা সিটি করপোরেশনের পুরাতন ভবন। সেখানে কেউ থাকেনা। ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছিল। যে কারণে সেখানকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তাই আমরা সিটি করপোরেশনকে জানিয়েছি ব্যবস্থা নিতে।’

একই বিষয়ে সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, মাদারবাড়ির সেবক কলোনীতে ভবনের কিছু অংশ খসে পড়ার খবর পেয়েছি। সেখানে অনুষ্ঠান চলছিল তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি একজন সামান্য চোট পেয়েছে। বাকিটা পরে জানানো যাবে।

এদিকে, চার বছর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের এই সেবকদের জন্য ২৩১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘পরিচ্ছন্নকর্মী নিবাস’ নামে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয় একনেক। প্রকল্পটির আওতায় দুই বছরে সাতটি ভবন তৈরির কথা। তবে পরপর দুবার সময় নিয়েও এখনো পর্যন্ত একটি ভবনও তৈরি করতে পারেনি সংস্থাটি। চার বছরে কাজ হয়েছে মাত্র ১৮ শতাংশ। আর এ কারণে রাস্তার একপাশে তৈরি অস্থায়ী ঘরে এবং পুরাতন এ জরাজীর্ণ ভবনে মানবেতর জীবনযাপন করছে সেবকরা। যদিও সেবকদের অস্থায়ী ঘরে সরিয়ে নেওয়ার জটিলতার কারণেই প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে গেছে বলে দাবি করছে সংশ্লিষ্টরা।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়