ওষুধে মশা মরে না কেন–জানতে ঢাকায় যাবে চসিকের টিম 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৩০, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
ওষুধে মশা মরে না কেন–জানতে ঢাকায় যাবে চসিকের টিম 

মশা।

মশা মারার যন্ত্র ফগার মেশিন থেকে ধোঁয়া বের হয়, কিন্তু মশা মরে না। আবার ওষুধ ছিটানো হলেও কোনও কাজ হয়না। প্রতি বছর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মশা মারতে কোটি কোটি টাকা খরচ করেও মশক নিধনে সফলতা দেখাতে পারেনি। মশার ওষুধ ছিটালেও মশা কেন মরে না তা জানতে এবার ঢাকায় নিজেদের টিম পাঠাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে চসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের উপ প্রধান কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম সিভয়েসকে বলেন, ‘মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে আমরা দুই সদস্যের প্রতিনিধি একদিনের সফরে ঢাকা উত্তর সিটিতে যাব। একদিনের ওই সফরে আমরা সরেজমিনে সেখানকার কর্মকর্তা-পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সাথে কথা বলার পাশাপাশি ওষুধের গুণগত মানও যাচাই করব। তারা কীভাবে কাজ করছে, আমরা কীভাবে কাজ করছি, এসব বিষয় পরখ করার জন্যই যাওয়া।’ 

তিনি আরও জানান, দুই সদস্যের এই টিমে উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম ও একজন অফিসার থাকবেন। আগামী সপ্তাহেই তারা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সরেজমিন পরিদর্শনে যাবেন। 

চসিক সূত্র জানায়, গত দুই অর্থ বছরে এক কোটি তিন লাখ টাকার মশক নিধনে কীটনাশক ‘এডালটিসাইড’আর ৯৯ লাখ টাকা খরচ করে মশার লার্ভা ধ্বংসকারী ‘লার্ভিসাইড’কিনেছে চসিক। যদিও বা এসব ওষুধ কেনার সময় ক্রয় নীতির নানা লঙঘনের অভিযোগ ছিল চসিকের বিরুদ্ধে। সংগ্রহের আগে ‘রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট’ (আইইডিসিআর) ও ‘বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট’ও ‘কীটতত্ত্ব বিভাগ’থেকে ওষুধের গুণগত মান পরীক্ষার নিয়ম থাকলেও তা অনুসরণ করা হয়নি। ফলে ছিটানো ওষুধ কার্যকর হচ্ছে না বলে অভিযোগ নগরবাসীর। বিষয়টি স্বীকার করেছেন সদ্য সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনও। 

মশক নিয়ন্ত্রণে প্রতি বছর নগরের বিভিন্ন বাসা–বাড়িতে ‘এডাল্ট ডি সাইট’নামে পূর্ণাঙ্গ মশা ধ্বংসকারী ওষুধ ছিটানোর ক্রাশ প্রোগ্রাম থাকে। এছাড়া বর্ষা মৌসুম ছাড়া বছরের অন্যান্য দিনগুলোতে নালা–নর্দমায় ‘লাইট ডিজেল এবং লিমব্যাক’ (লাল তেল নামে পরিচিত) নামক মশার ডিম ধ্বংসকারী একটি তেল ছিটানোর ক্রাশ প্রোগ্রাম থাকে। এ ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন নালা–নর্দমায় ব্যবহার করার কথা লাইট ডিজেল এবং স্কটল্যান্ডের তৈরি লিমব্যাক (লাল তেল নামে পরিচিত) নামক মশার ডিম ধ্বংসকারী একটি তেল। 

চসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীরা জানিয়েছেন, সারাবছরই মশার উপদ্রব থাকে নগরীতে। তবে প্রতি বছর নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এই পাঁচ মাসে মশার উপদ্রব বেশি লক্ষ্য করা যায়। মূলত এই সময়ে মশার ওষুধ ছিটানোর উপর জোর দেয়া হয়। 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়