ম্যাজিস্ট্রেট নেই, বছরজুড়ে ওয়াসার ৫৬ অভিযান

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৩৯, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২
ম্যাজিস্ট্রেট নেই, বছরজুড়ে ওয়াসার ৫৬ অভিযান

দীর্ঘদিন ধরে ম্যাজিস্ট্রেট সংকটে ভুগছে চট্টগ্রামা ওয়াসা। ছয় মাস অন্তর অন্তর ম্যাজিস্ট্রেট পদে শূণ্যতার কারণে অভিযানের ‘শৃঙ্খলা’ হারাচ্ছে সংস্থাটি। ফলে অবৈধ সংযোগের সঙ্গে সঙ্গে বাকির খাতা বাড়ছে সংস্থাটির।

ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্বাহী ম্যাজিস্টেটের জন্য পরপর তিনবার দেনদরবার করেও মন্ত্রণালয়ের কোন সাড়া মিলেনি। 

জানা গেছে, চট্টগ্রাম ওয়াসার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে থাকা ফাহামিদা মুস্তফার বদলি হয় ২০২১ সালের অক্টোবরে। তখন থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত বন্ধ ছিলো ওয়াসার অভিযান। এপ্রিলে নু এ মং মারমা মং যোগদানের পর ৩৭ দিন অভিযান পরিচালনা করেন চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরপর ফের থমকে যায় ওয়াসার অভিযান। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বভার চাপে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া তাহেরের কাধে। অক্টোবরে দায়িত্ব নিয়ে ১৯ দিনের অভিযানে ৪১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। রাজস্ব আদায় করেন ১৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।  

ওয়াসার তথ্যমতে, চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে শুরু হয় চট্টগ্রাম ওয়াসার মোবাইল কোর্ট। সেই মাসে মোট ১৩ দিন মোবাইল কোট পরিচালনা করে রাজস্ব আদায় হয় ৩২ লাখ টাকা। একইভাবে মে মাসে ৮ দিনে রাজস্ব আদায় হয় ৩১ লাখ টাকা। অন্যদিকে জরিমানা আদায় শুরু হয় আগস্ট মাস থেকে। আগস্ট মাসে ৭ দিনের অভিযানে ৯ মামলায় জরিমানা হয় ১২ হাজার টাকা, রাজস্ব আদায় হয় ২৩ লাখ টাকা। পরের মাসে ৯ দিনের অভিযানে ১৬ মামলায় জরিমানা হয় ৪৪ হাজার টাকা, রাজস্ব আদায় ছিলো ৩০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। ৮ দিনের অভিযানে অক্টোবরে ১২ মামলায় জরিমানা হয় ৪১ হাজার টাকা, রাজস্ব আদায় হয় ১৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকা, নভেম্বরের ১১ দিনে ৮৭ হাজার টাকা জরিমানা, রাজস্ব আদায় ৫৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা। 

চট্টগ্রাম ওয়াসায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সাজিয়া তাহের সিভয়েসকে বলেন, আগে ম্যাজিট্রেটের অভাবে তেমন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা যায়নি। ফলে অবৈধ লাইনের পরিমাণ কিছুটা বেড়ে গেছে। কিন্তু এখন প্রতিদিন অভিযান চলছে। অবৈধ লাইন দেখলেই সংযোগ বিছিন্ন করা হচ্ছে।  

‘চট্টগ্রাম ওয়াসার ম্যাজিট্রেট শাখা ছাড়াও অনেক পদ এখনো শূন্য। তাই অনেকেই নিজের পদের বাইরেও অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে।’ যোগ করেন ওয়াসার এই কর্মকর্তা।

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের চাহিদাপত্র দিয়ে মন্ত্রণালয়ে তিনবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। এখনো সাড়া মিলেনি। আমরা চেষ্টা করছি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পদ পূরণ করতে। সীমাবদ্ধতা থাকলেও আপাতত প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সিভয়েস/ডিসি/এএস
 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়